৩৬০ ট্যারাবাইট ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ছোট্ট স্টোরেজ ডিভাইস (5D Optical Data Storage)

আপনি কি জানেন 5D অপটিক্যাল স্টোরেজ ডিভাইস কি?
এই স্টোরেজ মেমরিকে বলা হয়, "সুপারম্যান মেমরি ক্রিস্টাল" । এটি একটি নেনো স্ট্রাকচার গ্লাস (ছোট্ট কয়েন তুল্য গ্লাস), যা ৫ ডাইমেনশনের ডিজিটাল ডাটা মেমরিতে জমা রাখতে পারে । এই মেমরি ৩৬০ ট্যারাবাইট ডাটা জমা রাখতে পারে । এটি ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কয়েক বিলিয়ন বছর সহজেই ডাটা ধারণ করে রাখতে পারে । আর ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এই ডিক্স তাপ সহ্য করে রাখতে পারে। চিন্তা করুন এই ছোট্ট ডিক্সে কি পরিমান ডাটা ধারণ করা সম্ভব। এত চমৎকার টেকনোলোজি আবিষ্কৃত হচ্ছে যে আমরা চোখের পলকে অনেক কিছুই পালটে যেতে দেখবো।
চিত্রঃ 5D অপটিক্যাল স্টোরেজ ডিভাইসের গঠন
এই ডিস্কটি পঞ্চম মাত্রার । তিনটি লেয়ারে এই ডিক্সটি তৈরী করা হয়ছে । যা ২০১৩ সালে আবিষ্কৃত হলেও প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিলো ২০১৮ সালের স্পেসক্সের "Elon Musk's Tesla Roadster" নামের একটি সূর্য গবেষণাকারী মিশনে ।


২০১৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী ফেলকন ৯ রকেটে করে চাঁদ গবেষণার জন্য ব্যারেশীট (Beresheet) রোবটে একটি 5D Optical Data Storage ডিক্স সাথে করে পাঠানো হয় । ঐ ডিক্সে Universal Declaration of Human Rights (UDHR), Newton’s Opticks, Magna Carta and Kings James বাইবেলের সম্পূর্ণ ডাটা জমা আছে । আর ভবিষ্যতে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পরে কেউ যদি ব্যারেশীট (Beresheet) রোবটটি পায় তাহলে এই ডিক্সের ডাটা গুলো মানব ইতিহাসের বিরাট অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত করাবে । এমনটাই আশা করে ব্যারেশীট স্পেসক্রাফ্ট‌টিতে এই ডিভাইসটি জুড়ে দেয়া হয়েছে । তবে দুঃখের ব্যাপার ব্যারেশীট স্পেসক্রাফ্ট‌টি সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করতে পারে নি। পৃথিবীর সাথে সেটি এখন আর যোগাযোগ নেই । সেটি এখন মহাশূণ্যের অসীম বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে যাযাবর হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । তবে মহাজাগতিক অন্য কোন প্রাণী যদি এটি পায় তবে তারা পৃথিবী নামক গ্রহে মানুষের বসবাস তথা মানুষের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে অবগত হতে পারবে ।
এই স্টোরেজ ডিভাইসটি মানুষের কল্পনার বাহিরে । তাই এই ডিক্সকে বিভিন্ন নামে নাম করণ করা হয়েছে। একে আখ্যায়িত করা হয়, "ব্ল্যাক ম্যাজিক অব হিউম্যান ডিক্স মেমরি" বা "ফিউচার স্ট্রোরেজ ডিভাইস" নামে ।
চিত্রঃ বাইবেল ধারণ করা 5D অপটিক্যাল স্টোরেজ ডিভাইস
এই ডিভাইসের ডাটা আপনি সিডি রম বা ক্যাবল ব্যবহার করে দেখতে পারবেন না। এতই সূক্ষ্ম ডিভাইস যে রিড করতে হলে আপনাকে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করতে হবে।
ভবিষ্যৎ বিজ্ঞান তথ্য সংরক্ষণার্থে এই ডিভাইসটি ব্যবহার আশানুরূপ ।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট
২৪ এপ্রিল, ২০১৯ এ ২:১৩ AM

চমৎকার একটা জিনিস জানলা। ধন্যবাদ।।

Reply
avatar