শব্দ কি ভাবে তৈরী হয় !

শব্দ কি ভাবে তৈরী হয় !
একটি অডিওতে অনেকগুলো চ্যানেল লেয়ার (Channel Layer) থাকে । আজকের পর্বে দেখাবো শব্দের মূল রহস্য কি ? শব্দ একটি এনালগ ড্যাটা (Analog Data) । আমরা যা কথা বলি সেটাতো ইলেকট্রিক না । পৃথিবীর সমস্ত প্রাকৃতিক শব্দই এনালগ । আজকের টিউনে আপনি শব্দের গতি ও প্রক্রিয়া জানতে পারবেন ।
এখানে কয়েকটি প্রশ্ন আছে । ধাপে ধাপে আমরা জেনে নেবো ।

প্রশ্নঃ সাউন্ড কিভাবে তৈরী হয়?
কোন কিছুর কম্পনে (Vibrate) শব্দ উৎপন্ন হয় । যেমন, আপনি একটি লোহার দন্ড দিয়ে অন্য কোন লোহার দন্ডে আঘাত করেন তখন একটি শব্দ উৎপন্ন হয় । পদার্থ বিজ্ঞানের মতে, যখন কোন পদার্থে কম্পন সৃষ্টি হয় তখন পদার্থের মধ্যে থাকা কণাগুলোর মধ্যে আন্দোলন সৃষ্টি হয় । এই আন্দোলন একটি মাধ্যমের (যেমন, বায়ু মাধ্যম) এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় বলেই শব্দ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে । এটাকে বিজ্ঞানের ভাষায় অসিলেশন (Oscillation) বলে । কণাগুলোর আন্দোলনে একটি মাধ্যমে (যেমন, বায়ু) তারি কিছু তরঙ্গ সৃষ্টি করে । তরঙ্গ সৃষ্টির ফলেই আমরা আওয়াজটি শুনতে পায় । আমরা যে কথা বলি, সেটাও বাতাস মাধ্যমকে ব্যবহার করে, গলা (Throat) থেকে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় । অসিলেশন হয় বলেই আমাদের গলা থেক আওয়াজ বের হলে আমরা তা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে শুনতে পায় ।
↺ Read More | বিজ্ঞানের ভাষায় শব্দ তরঙ্গের একটি ব্যাখ্যা (গাণিতিক)
আপনি হয়তো মনে করছেন সাউন্ড ঠিক নিচের ওয়েভ অনুসারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে । কিন্তু তা কিছুটা ভুল ।
চিত্রঃ সাউন্ড ওয়েভ 
উপরে চিত্রের যে তরঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন সেটাকে অনুপ্রস্থ (Transverse Wave) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে । এই ওয়েভটি একটি সাপের মত করে অগ্রসর হয় ।
কিন্তু শব্দ এরকম অগ্রসর হয় না ।  শব্দ তরঙ্গ সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিভ্রমণ করে । কিছুটা একটি কেঁচোর (Earthworm) এর মত ।
চিত্রঃ একটি অগ্রসরমান কেঁচো
সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে শব্দের পরিবহণকে অনুদৈর্ঘ্য (Longitudinal Wave) তরঙ্গ বলে । নিচের চিত্রে এই দুটি ওয়েভ দেখুন,
চিত্রঃ অনুপ্রস্থ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
↺ Read More | ড্যাটাবেস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও মৌলিক বিষয়বস্তু !
শব্দ কোন মাধ্যমে যখন চলে তখন কিছু শব্দ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের কিছুটা পিছনে সামনে এমনি করে অগ্রসর হয় । এটা বুঝার জন্য নিচের চিত্রের লাল ডটগুলো খেয়াল করুন ।
ডটগুলো প্রথমে সামনে যায় আবার পেছনে ফিরে । এমন করেই শব্দ অগ্রসরিত হয় । যে স্থানে কালো দানাগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় সেখানে শব্দের তিব্রতাও বেশি হবে ।

প্রশ্নঃ কখন শব্দ উচ্চ হয়?
শব্দ যখন স্থান পরিবর্তন করে তখন নিচের চিত্রের মত কম্পন গুলো অগ্রসর হয় । যখন উচ্চ শব্দ তৈরী হয় তখন  শব্দ একটি পূর্ণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্পন্ন করতে কম সময় নেয় । পূর্ণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্পন্ন যত সময় নিবে তার তিব্রতা তত কম হবে । যত কম সময়ে পূর্ণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্পন্ন করতে যত সময় নিবে ততটাই শব্দ তিব্র হবে ।
প্রশ্নঃ মানুষের সর্বোনিম্ন শ্রবণের সীমা (শ্রাব্যতার সীমা) কত? 
মানুষের সর্বোনিম্ন শ্রাব্যতার সীমা হল , ২০ হার্জ (20 Hertz) ।

প্রশ্নঃ মানুষের সর্বোচ্চ শ্রবণের সীমা (শ্রাব্যতার সীমা) কত? 
মানুষের সর্বোনিম্ন শ্রাব্যতার সীমা হল , ২০০০০ হার্জ (20000 Hertz) । এর উপরের শব্দগুলো মানুষ সঠিভাবে শুনতে পারে না ।

প্রশ্নঃ কত ডেসিবলের উপরের শব্দ মানুষের জন্য ক্ষতকর?
মানুষের নিরাপদ শব্দ সীমা হল , ৮৫ ডেসিবল (85 Decibel) । এর উপরের সকল শব্দই আমাদের জন্য ক্ষতিকর ।
↺ Read More | ইন্টারনেট কি (What is Internet) ?
নিচে শব্দ তৈরীর পরিমাপ দেখানো হল,
Noise
Average decibels (dB)
Leaves rustling, soft music, whisper
30
Average home noise
40
Normal conversation, background music
60
Office noise, inside car at 60 mph
70
Vacuum cleaner, average radio
75
Heavy traffic, window air conditioner, noisy restaurant, power lawn mower


80–89 
Subway, shouted conversation
90–95
Boom box, ATV, motorcycle
96–100
School dance
101–105
Chainsaw, leaf blower, snowmobile
106–115
Sports crowd, rock concert, loud symphony
120–129
Stock car races
130
Gun shot, siren at 100 feet
140

সূত্রঃ https://www.healthlinkbc.ca/health-topics/tf4173

অডাসিটি অডিও এডিটিং সফটওয়্যার ইন্সটলিং!

অডাসিটি অডিও এডিটিং সফটওয়্যার ইন্সটলিং!
আপনি যখন কোন অডিও রেকর্ড করেন তখন ঠিক দুটি কারণে আপনার অডিওটি শুনতে ভাল লাগে না ।

  • ১। রেকর্ডিং ডিভাইস ভালো না হওয়ার কারণে
  • ২। রেকর্ড এডিটিং এর সফটওয়্যারের ব্যবহার না জানার কারণে
আজকে যে ভিডিওটি শেয়ার করছি সেটা একটি চমৎকার ফ্রী অডিও এডিটর । যেটা দিয়ে আপনি প্রোফ্রেশনাল ভিডিও তৈরী করতে পারবেন । 
আমি আস্তে আস্তে ভিডিওর মাধ্যমে আপনাকে কমপ্লিট গাইড দেয়ার চেষ্টার করবো কিভাবে আপনার রেকর্ডিং কে চমৎকার করে তুলতে পারবেন ।
চলুন কথা না বাড়িয়ে ভিডিওটি দেখে নিন । আজকের পর্বে অডাসিটি ইনস্টল ও ডাউনলোডিং প্রসেস ব্যাখ্যা করছি ।
↺ Read More| ইন্টারনেট কি (What is Internet) ?
ধন্যবাদ । আগামি পর্ব দেখার নিমন্ত্রণ রইল ।

ড্যাটাবেস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও মৌলিক বিষয়বস্তু

ড্যাটাবেস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও মৌলিক বিষয়বস্তু
আমরা যখন কম্পিউটারে কোন গান বা ভিডিও রাখি সেখানে জমা হয়ে থাকে । আমরা হার্ড ডিস্ক থেকে মুছে  না ফেলা পর্যন্ত সে গান বা ভিডিও সেই ফোল্ডারেই পরে থাকে । ঠিক এমনটাই ঘটে মোবাইলের মেমোরিতে । ডিলেট না করা পর্যন্ত সেই গান বা ভিডিও বা ফাইলটি সেই জায়গায় পরে থাকে । মেমরির ভিতরে প্রত্যেকটি গান , ভিডিও , ছবি সব গুলোর এক একটি ড্যাটা ফাইল (Data File) । আর এই সবকিছু মেমোরিতে ধরে রাখার পদ্ধতিই হল ড্যাটাবেস (Database) । প্রযুক্তির বিশাল একটি আশির্বাদ এই ড্যাটা । ড্যাটা শব্দের অর্থ উপাত্ত । ড্যাটা আসলে একটি প্লোরাল (Plural Word) যার সিঙ্গুলার শব্দ হল ড্যাটাম (Datum) যার অর্থ উপাদান । তাহলে ড্যাটাবেসের অর্থ কি?
ড্যাটাবেস দুটি পূর্ণার্থ নিয়ে গঠিত । একটি হল ড্যাটা (Data) ও আরেকটি হল বেস (base) । ড্যাটা শব্দের অর্থ আমরা জানি আর 'বেস' মানে হল সমাবেশ

ড্যাটা ছাড়া আমরা কোন কিছুই ধরে রাখতে পারি না । কোন ফাইলই সুসজ্জিত রাখতে পারি না । তাহলে যটফট ড্যাটাবেস সম্পর্কে আবিধানিক কিছু তথ্য জেনে নিই ।

ড্যাটাবেসের সংজ্ঞাঃ কোন সিস্টেমে অনেকগুলো ড্যাটার সমাবেশকে সুসজ্জিত করে সাজানোকে সংক্ষেপে ড্যাটাবেস (Database) বলে । অর্থাৎ, অনেকগুলো ড্যাটা নিয়েই একটি ড্যাটাবেস তৈরী হয় ।

ড্যাটার প্রকারভেদঃ
ড্যাটা অনেক ধরণের হতে পারে । তার মধ্যে প্রধানত এটি তিন প্রকার । চিত্রে বিস্তারিত দেয়া হল,

ড্যাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমঃ
একটি বইয়ের থাক (Shelf) এর কথা চিন্তা করুন । আগে চিত্রটি ভালো করে দেখুন তার পর নিচের লেখা গুলো পড়ুন ।
চিত্রঃ বইয়ের থাক
থাকটিতে দুটি সারিতে ১২টা করে মোট ২৪টি বই আছে । আরও খেয়াল করুন , বইগুলো সুশৃঙ্খল সারিতে সারিবদ্ধ আছে । ২টি সারিতে (raw) ১২টি কলাম (column) আছে । কলাম গুলোর ভিতরে সুসজ্জিত করে বই রাখা যায় । এখানে বইগুলো হল উপাদান । আর থাকটি (Shelf) হল  বই রাখার থলে বা সহজে বলা যায় কন্টেইনার (Container) ।
↺ Read more | ইন্টারনেট কি (What is Internet) ?
ড্যাটাবেসের ভাষায় এই ঘটনাটি যদি বর্ণনা করি তবে বলা যায়, একটি টেবিলে ২টি সারি আছে, সারিগুলোর ভিতরে বই রাখার স্থানটিকে ফিল্ড (Database Field) বলে । আর এই টেবিলে ১২টি কলাম আছে । প্রত্যেকটি কলাম হল এট্রিবিউট (Attributes) । আমি নিশ্চিত আপনি বুঝেন নি , তাহলে নিচের টেবিলের তাকান,

প্রথমে জনপ্রিয় সব বই নিয়ে টেবিলটি সাজায় ।
টেবিল-১ঃ
সায়েন্স ফিকশান কাব্য উপন্যাস কবিতা সনেট গল্প
কেপলার ২২বি বনফুল হাজার বছর ধরে সঞ্চিতা কাকলী ঠাকুরমার ঝুলি
টুকুনজিল জুলেখা আমার বন্ধু রাসেদ সঞ্চয়িতা গীতপুষ্প বনিক মামা
অনিক লুম্বা গীতাঞ্জলী গেরিলা পাগলা দাসু রাঙাফুল ছোট্ট ছেলের দল
ট্রিনিত্রি রাশিমালা সঞ্জয়িতা মৃত্যুর আগে সুমেরু পদ্মা পাগলা মামা

দ্বিতীয় টেবিলে আমার যত্তসব প্রিয়গুলো নিয়ে টেবিল সাজায় ।
টেবিল-২ঃ
খাবারজায়গাখেলাটিভি সিরিজফলগল্প
চিকেন বিরিয়ানিশ্রীমঙ্গল বিটিআরসিফুটবলগল্প নয় সত্যিআমঠাকুরমার ঝুলি
আলু ভর্তাসুন্দরবনহকিহাতেম তাইখেঁজুরবনিক মামা
মাটন বিরিয়ানিকক্সবাজার সমুদ্র সৈকতক্রিকেটবিগব্যাগলিচুছোট্ট ছেলের দল
কাচ্চি বিরিয়ানিমাধবকুণ্ডবাস্কেটবলজমজআপেলপাগলা মামা

২টি টেবিলে ৫টি সারি ও ৬টি কলাম আছে । ড্যাটাবেসের ভাষায় এই প্রত্যেক সারিকে বলা হয়, RAW আর প্রত্যেক উলম্ব বরাবর কনটেন্ট গুলোকে বলা হয় , COLUMN । সারির প্রতিটা স্থানকে বলা হয় ফিল্ড (Filed) আর কলামের প্রতিটা স্থানকে বলা হয় এট্রিবিউট (Attributes) ।
এখন প্রশ্ন হল, সারি আর কলামের চিহ্নিত করা ফিল্ড আর এট্রিবিউট তো ঐ একটাই বুঝায় । যেমন, ১ম টেবিলের ২য় সারির তৃতীয় কলাম মানে টেবিলে "হাজার বছর ধরে" এটাকে বুঝায় । তবে এটাকে ফিল্ডও বলা হয় আবার এট্রিবিউটও বলা হয় । ব্যাপার কি?
আসলে যখন আমি ১টি সারিকে কল্পনা করবো তখন প্রত্যেকটি কনটেন্টকে বলা হয় ফিল্ড । যেমন যদি বলা হয়,
৩য় সারির ফিল্ডগুলো দেখাও তবে আপনি এরকমি দেখাবেন আশা করি !

অনিক লুম্বাগীতাঞ্জলীগেরিলাপাগলা দাসুরাঙাফুলছোট্ট ছেলের দল

সারির ভিতরে প্রত্যেকটি কন্টেন্টকে বলায় হয়, ফিল্ড । আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোনগুলো ফিল্ড?

 আবার শুধু মাত্র যখন ১টি কলামকে কল্পনা করবো তখন এটার নাম এট্রিবিউট (Attribute) ।  আর যদি বলা হয় টেবিলের ৩য় কলামের এট্রিবিউটগুলো দেখাও তবে আপনি নিচের টেবিলটাই দেখাবেন,
উপন্যাস
হাজার বছর ধরে
আমার বন্ধু রাসেদ
গেরিলা
মৃত্যুর আগে

কলামের ভিতরে প্রত্যেকটি কন্টেন্টকে বলা হয়, এট্রিবিউট । এখন আশা করি ক্লেয়ার হয়েছেন ।
↺ Read more | এনিমেশন কি ! (What is Animation) ?
প্রাইমারি কী (Primary Key) কি?
প্রথম টেবিলে খেয়াল করুন,
টেবিলে কলামগুলো এক একটি ক্যাটাগরিতে সাজানো । অর্থাৎ, কবিতা কলামের এট্রিবিউটটা শুধু মাত্র কবিতার বই বুঝানো হয়েছে । কবিতা হল প্রাইমারি কী (Primary Key) । আর তার ভিতরে প্রত্যেকটি এট্রিবিউটই তার নিজস্য কন্টেন্ট । অর্থাৎ, মোটা করে ক্যাটাগরির যে নামগুলোকে মার্ক করা আছে সেগুলোই প্রাইমারি কি । স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেও কোন একটি টেবিলের প্রত্যেকটি কলামের উপরে একটি ক্যাটাগরির নামই দেয়া সম্ভব । যেমন,

 টেবিল-১ এ,
সায়েন্স ফিকশানকাব্যউপন্যাসকবিতাসনেটগল্প

টেবিল-২ এ,
খাবারজায়গাখেলাটিভি সিরিজফলগল্প

ফরেন কী (Foreign Key) কি?
উপরের দুটি টেবিলে আবার খেয়াল করুনতো? দেখুন, ১ম টেবিলের "গল্প" প্রাইমারি কী-টি ২য় টেবিলেও বিদ্যমান । ১ম টেবিলে যেহেতু "গল্প" কলাম তৈরী করা হয়েগেছে তাই ২য় টেবিলে তা নতুন করে তৈরী করার দরকয়ার নেই । শুধু মাত্র প্রথম টেবিলের "গল্প" কলামটিকে ২য় টেবিলে এসাইন (Assign) করে দিলেইতো হল । একে বলা হয় ফরেন কী । অর্থাৎ, এই কী-টা অন্য কোন টেবিল থেকে হুবহু নেয়া ।

টেবিল -১ এ,
গল্প
ঠাকুরমার ঝুলি
বনিক মামা
ছোট্ট ছেলের দল
পাগলা মামা
টেবিল-২ এ,
গল্প
ঠাকুরমার ঝুলি
বনিক মামা
ছোট্ট ছেলের দল
পাগলা মামা

আশা করি আপনি ড্যাটাবেসের কিছু বিষয় ক্লেয়ার হয়েগেছেন । আগামি টিউনে ড্যাটাবেস নিয়ে আর থাকবে । ধন্যবাদ ।

ইন্টারনেট কি (What is Internet) ?

ইন্টারনেট কি (What is Internet) ?
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে আমরা ইন্টারনেট ছাড়া কিছুই বুঝতে পারি না । এই নেটওয়ার্ক আমাদের চারদিক থেকে গ্রাস (Consume) করে রেখেছে । এখন পৃথিবীর কোণায় কোণায় ইন্টারনেট পৌঁছেছে । আপনি না চাইলেও নেটওয়ার্ক আপনাকে চারদিক থেকে প্রতি মুহূর্তে ঘিরে রয়েছে । তাহলে কেন না, আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না । অবশ্যই এই আলট্রা মডার্ন প্রযুক্তিটাকে ব্যবহার করা উচিৎ । আমার জানার প্রযোজন নেই কে কোথায় কিভাবে এই ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছে কিংবা কেইবা বর্তমানে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে । তবে আপনি যদি আগ্রহী হোন তবে এই টিউনটি আপনার জন্য ।


তাহলে জেনে নিই ।
প্রথমে আসি ইন্টারনেট (Internet) কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে সে বিষয়ে ।

ইন্টারনেট আবিষ্কারঃ
১৯৫০ এর শেষের দিকে এবং ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে SABRE (an airline reservation system) ও AUTODIN I (a defense command-and-control system) এই দুটি কাজের জন্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার শুরু হয় । এইসব নেটওয়ার্ক এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডাটা ট্রান্সফার করা হত । ১৯৬০ এর দশকে কম্পিউটারে সেমিকন্ডাকটর ব্যবহারের পর থেকে নেটওয়ার্কের ব্যবহার আর সহজ হয়ে পরে । এই নতুন কম্পিউটারগুলোতে বেচ প্রসেসিং (Batch Processing) ও টাইম শেয়ারিং (Time Shareing) দুটি নতুন মাত্রা যোগ হয় । এতে অনেক কম্পিউটারের সাথে সহজেই ফাইল শেয়ার করা যেত । যার ফলে আরো দ্রুততার সাথে নেটওয়ার্কিং শুরু হয় । এতে একটি ড্যাটা একি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা অনেকের সাথে আদান প্রদান সক্ষম হয়ে উঠে । এই নেটওয়ার্কের ধরণ ছিলো হোস্ট টু হোস্ট (Host to Host) । যার ফলে একটি হোস্টার থেকে আরেক হোস্টারে কাছে ফাইল ও মেসেজ অনেক দ্রুততার সাথে ট্রান্সফার করা সম্ভব হয়ে পরে । এই পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণটাই ছিলো আমেরিকান ডিফেন্সের একটি প্রোজেক্টের মাধ্যমে । যার নাম আরপা ARPA [Advanced Research Projects Agency (ARPA)] । আরপা ছিলো পৃথিবীর প্রথম সাধারণের জন্য নির্মিত নেটওয়ার্ক । আরপা , আমেরিকান সরকারি কাজে ও শুধুমাত্র আমেরিকান বড় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর জন্য উন্মুক্ত ছিলো । পরে ডারপা DARPA (Defense Advanced Research Projects Agency) নামে আরো একটি নেটওয়ার্ক তৈরী হয় । যেটা স্যাটেলাইটের সাথে কানেক্ট করে একটি নেটওয়ার্ক গঠন করে আমেরিকান ডিফেন্সের তথ্য আদান প্রদান করা যেত । এই মাত্রায় এসে মোবাইলের সাথে নেটওয়ার্কিং সম্পর্কযুক্ত হয় ।
আরপা নেটওয়ার্কের একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা স্বরূপ পৃথিবীতে ইন্টারনেট আবিষ্কৃত হয়েছিলো । যেখানে ১৯৭০ সাল থেকে গবেষণা শুরু করেন কম্পিউটার বিজ্ঞানি ভিন্টন শ্রেফ (Vinton Cerf)বোব কান (Bob Kahn) । তাদের গবেষণা থেকেই এসেছে ইন্টারনেট এপ্লিকেশনটি । আরেক কম্পিউটার বিজ্ঞানী পল বারান (Paul Baran) আমেরিকার ডিফেন্সের জন্য একটি নেটওয়ার্ক ফিগার তৈরী করেন । যেখানে নেটওয়ার্ক ছিলো বহুমুখী । অর্থাৎ, যদি বিদ্রোহী দল কোন সার্ভারে আক্রমণ করে তাহলে যাতে সব ড্যাটাই ধ্বংস হবে না । নিচের চিত্রে খেয়াল করুন ফিগারটি ।
তিনি চিন্তা করতেন বহু কেন্দ্রিক নেটওয়ার্কের । এক কেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক পদ্ধতিতে নিওক্লিয়ার বোমা
কেন্দ্রতে পরলেই সবকিছু শেষ হয়ে যায় । তাই তিনি এই বহুকেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক কাঠামোটি তৈরী করেন ।

তিনি বহুকেন্দ্রিক এই গঠনের মাধ্যমে এমন একটি ব্লক তৈরী করেন যেটার মাধ্যমে নিউক্লিয়ার বিষ্ফোরণে কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বাকি অংশগুলো রিতিমত কাজ করবে ।


চিত্রে প্রত্যেকটি গুল পয়েন্টই কম্পিউটার । এক একটির সাথে ইন্টার কানেক্টেড । তাই যেকোন স্থানে ক্ষতি হলেও ড্যাটা ট্রান্সফারে কোন অসুবিধা হবে না ।
এটার কিছু ত্রুটি ছিলো যার দরুন এমনি একটি টেকনিক ব্যবহার করে তৈরী হয়ে যায় ইন্টারনেট । ইন্টারনেটই প্রথম কোন এপ্লিকেশন যেটা সারা পৃথিবী ব্যাপী ড্যাটা ট্রান্সফার করতে পারে ।

প্রশ্ন হল, এই ইন্টারনেট কে নিয়ন্ত্রণ করে?

  • ইন্টারনেট বলতে গেলে কেউ নিয়ন্ত্রণ করে না কিংবা বলা যায় সবাই নিয়ন্ত্রণ করে । প্রতিটি এলাকায় সে সার্ভারগুলো আমাদের ইন্টারনেট প্রোভাইড করে তারাই এই নেটওয়ার্ককে নিয়ন্ত্রণ করে । আর ব্যবহারকারী ছাড়া কোন নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণই বেকার । তাই প্রত্যেক্ষভাবে প্রতিটা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই এই ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করে ।


ইন্টারনেটের আবিষ্কার কে?

  • ইন্টারনেটের আবিষ্কারক ভিন্টন শ্রেফ (Vinton Cerf) ও বোব কান (Bob Kahn) ১৯৭০ সালে এটি তৈরী করেন ।  উপরে উল্লেখ আছে ।


ইন্টারনেট কখন আবিষ্কৃত হয়?

  • ১লা জানুয়ারি ১৯৮৩ সালে ইন্টারনেট আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয় ।


ইন্টারনেটের পূর্ণ নাম কি?

  • ইন্টারনেটের পূর্ণ নাম হল Interconnected Network । 


প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয় কত সালে?

  • ১৯৬৮ সালে ।


বাংলাদেশে কখন ইন্টারনেট ব্যবহার সবার জন্য উন্মুক্ত হয়?

  • ১৯৯৬ সাল থেকে । 


তথ্য সূত্রঃ
১। https://www.britannica.com/technology/Internet
২। https://www.khanacademy.org/computing/computer-science/internet-intro/internet-works-intro/v/what-is-the-internet
৩। https://en.wikipedia.org/wiki/History_of_the_Internet
৪। https://www.history.com/news/who-invented-the-internet

ফটোশপ টিউটোরিয়াল টুল পরিচিতি (বাংলা টিউটোরিয়াল) পর্ব-১ মুভ টুল (Basic Photoshop Tutorial-Move Tool)

ফটোশপ টিউটোরিয়াল টুল পরিচিতি (বাংলা টিউটোরিয়াল) পর্ব-১ মুভ টুল (Basic Photoshop Tutorial-Move Tool)
ফটোশপের আজকের চাপ্টার মুভ টুল (Move Tool) । বেসিক পর্বটি যদি আপনার ক্লেয়ার না থাকে তবে নিশ্চিত থাকুন ভবিষ্যতে যখন প্রোফেশনাল কাজ করতে যাবেন আপনি কোল পাবেন না । তাই আমাদের সাথেই নতুন নতুন আপডেট টিউটোরিয়ালে নতুন কিছু শিখুন ।  ভিডিওতে থাকছে
  • মুভ টুলের পরিচিতি , 
  • কি ভাবে মুভ টুলের মাধ্যমে কাজ করা যায়, 
  • ইমেজারি কাজে ব্যবহারের সহজ টেকনিক ও বিস্তৃত আলোচনা ।
↺ | ফটোশপ বেসিক ইন্টারফেস (Photoshop Basic Interface) পরিচিত
মুভ টুলের কিছু কাজ যা ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে,
  • ইমেইজ/ লেয়ার/ গ্রুপ মুভ করার কৌশল
  • লেয়ারকে এলাইন (Align Layers) করা ।
  • সহজে যে কোন লেয়ার সিলেক্ট করার পদ্ধতি ।
  • গ্রুপ করার সহজ সর্টকাট সহ আরো অনেক কিছু ।
ভিডিওটি দেখুন ...


ফটোশপ বেসিক ইন্টারফেস (Photoshop Basic Interface) পরিচিত

ফটোশপ বেসিক ইন্টারফেস (Photoshop Basic Interface) পরিচিত
ফটোশপের রেন্ডম টিউটোরিয়ালে আজকের পর্ব বেসিক ইন্টারফেস অব ফটোশপ (Basic Interface of Photoshop)

ফটোশপ আগের পর্বে আমরা ডাউনলোড করেছিলাম । সহজ একটা লিংক দিয়েছিলাম ডাউনলোড করার জন্য । আশা করি আপনি ইন্সটল করতে পেরেছেন । যদি আপনি আগের টিউনটি মিস করে থাকেন তবে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন ।

↺ | ফটোশপ সিসি ২০১৯ ডাউনলোড করুন [Photoshop CC 2019 (Full Version)]

ফটোশপের কাজ করার আগে ইন্টারফেস সম্পর্কে জানা অতি জরুরি । তাই আজকের টিউনটি স্বচিত্রক (Pictural) ভাবে উপস্থাপন করেছি যাতে আপনি সহজেই বুঝে নিতে পারেন । চলে যায় মূল টপিকে । খেয়ালে রাখুন , আমি ফটোশপ সিসি ২০১৯ ভার্সনটি ব্যবহার করছি ।

ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডোঃ
আপনি যখন ফটোশপ রান করবেন তখন যে উইন্ডোটি আপনি দেখতে পান সেটাকে বলা হয় "ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডো (Photoshop Initial Window)" ।
চিত্রঃ ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডো (Photoshop Initial Window)
প্রোজেক্ট ম্যানেজার উইন্ডোঃ
ফটোশপ ইনিশিয়ালাইজিং হওয়ার পরে এই উইন্ডোটি দেখতে পাবেন । এই উইন্ডোর নাম প্রোজেক্ট ম্যানেজার উইন্ডো (Project Manager Window) । এই ধাপে আপনি নতুন প্রোজেক্ট তৈরী করতে পারবেন । আর আপনাকে যে কোন ইমেজে কাজ করতে হলে প্রথমে কথাই হলো একটি প্রোজেক্ট তৈরী করা । চিত্রে দেখুন,
চিত্রঃ প্রোজেক্ট ম্যানেজার উইন্ডো (Project Manager Window)
এই ধাপে আপনি দুটি কাজ সহজেই করতে পারবেন । আগে যেসব psd ফাইল নিয়ে আপনি কাজ করেছেন সে প্রোজেক্ট এই উইন্ডোতে দেখাবে । তাই সহজেই আপনি এক ক্লিক করে আগের করা ফাইলটি ওপেন করতে পারবেন । আর বাটনে ক্লিক করে নতুন প্রোজেক্ট তৈরী করতে পারবেন ।    বাটনটি দ্বারা আপনি আপনার লোকাল ফাইল থেকে কোন ইমেজ ফটোশপে নিয়ে আসতে পারবেন । এখন গভীর বিষয়বস্তুতে যাওয়া যাক ।
যখন আপনি   তে চাপবেন তখন যে উইন্ডোটি আসবে সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলা দরকার । কারণ, আপনি যে ডকুমেন্টটি তৈরী করছেন সেটির কিছু প্রোপার্ট আছে যেগুলো এই    তে করে নিতে হবে ।
বুঝে নিই কোন ফিল্ডটা কিসের জন্য,
চিত্রঃ   পরিচিতি
চিত্রটি ভালো ভাবে খেয়াল করুন । নাম্বারিং গুলো এখন নিচের তথ্যের সাথে ভালো করে পরিচিত হন ।
১. Project Name হল আপনার ডকুমেন্টের নাম ।
২. Document Width মানে আপনার ফটো ডকুমেন্টের প্রস্থ কতটুকু হবে । অবশ্যই ভালো করে খেয়াল রাখবেন এর ঠিক ডানে একক দেয়া আছে । ফটোশপে পরিমাপের ৬টি একক রয়েছে । নিচে এককগুলো দেয়া হল,

      •  Pixels
      •  Inches
      •  Centimeters
      •  Milimeters
      •  Points
      •  Picas
তাই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপের ক্ষেত্রে একক গুলো খেয়ালে রাখবেন । কারণ, এক একটি ইউনিটের মাপ আরেকটার সাথে কখনই সমান হবে না ।

৩. Document Height হল আপনার ডকুমেন্টের উচ্চতা । এটাতেও এই ৬টি একক আছে ।
৪. Document Resolution হল আপনার ডকুমেন্ট কোন কাজের জন্য তৈরী করা হচ্ছে তা নির্দেশনা দেয়া । যদি শুধুমাত্র অনলাইনে আপলোড করার জন্য হলে যেটা দেয়া আছে তাই রাখুন । কিন্তু যদি আপনি এই যে ছবিটি তৈরী করতে যাচ্ছেন  তা প্রিন্ট করতে চান তবে রেজল্যুশন ৩০০ করে দিন । কারণ, প্রিন্ট মিডিয়ার রেজল্যুশন ৩০০ । এই রেজল্যুশনে আপনি সর্বোচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ইমেইজ প্রিন্ট পাবেন ।
৫. Color Mode এটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । কারণ, অনলাইনে আপলোড করার জন্য হলে RGB কালার মোডটাই চলে । কিন্তু যদি আপনি ছবিটি প্রিন্ট করতে চান তবে আপনাকে চার কালার (Four Colour) অর্থাৎ, CMYK কালার মোডটি ব্যবহার করতে হবে । এছাড়াও ফটোশপ ৫টি কালার নিয়ে কাজ করতে পারে । যথা,

      • Bitmap - ডট আকারে ইমেজ
      • Grayscale - সাদা কালো ইমেজ 
      • RGB Color - Red Green Blue কালার
      • CMYK Color - Cyan Megenda Yellow blacK কালার
      • Lab Color - তিন চ্যানেলের কালার মোড (Lightness, A Channel, B Channel
৬. Save as Tamplate এমন একটি ফাংশন যা দ্বারা আপনি সহজেই তৈরী করা যে কোন ডকুমেন্ট সেটিংসকে সহজেই ব্যবহার করে নতুন একটি ডকুমেন্ট তৈরী করতে পারবেন । যেমন , আপনি পাসপোর্ট সাইজের ছবির মাপ সেভ রাখতে চান তবে এই জায়গায় আপনি স্টোর করে রাখতে পারেন ডকুমেন্টের মাপ, রেজল্যুশন মিলে সব কিছু । 
৭. এই জায়গায় আবার আপনি যা সেভ করে রেখেছেন তা দেখতে পারবেন । তাকে আবার ব্যবহার করতে পারবেন ।

৮. এই অপশনগুলো হল ফটোশপের আগে থেকে দেয়া কিছু টেমপ্লেট । নেট কানেকশন দিয়ে এই ফাইলগুলো আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন । তবে আপনার ক্রিয়েটিভ ক্লাউড একাউন্ট লগইন রাখতে হবে ।

৯. এখন আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত একটি ফটোশপ ডকুমেন্ট তৈরীর জন্য ।


এখন আমরা দেখবো ফটোশপের মূল কাঠামোর কোন অংশকে কি বলা হয় সে সম্পর্কে । নিচে আমি ইমেইজটি আপলোড করে দিচ্ছি । গুছিয়ে প্রতিটা জায়গার নাম ভালো করে নাম্বারিং করে দেয়া আছে । একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন ।

এবার ছবির নাম্বারিং তথ্য গুলোর ব্যাখ্যা নিচের তথ্যের সাথে মিলিয়ে ভালো করে বুঝে নিন ।
১. Menu Bar হল ফটোশপের সকল ফাংশন । এই ফাংশন গুলো ব্যবহার করেই আমরা কোন একটি ইমেইজ নিয়ে কাজ করছি ।

এই মেনু বারে আমরা ১১ই অপশন দেখতে পাচ্ছি ।

  • File অপশন
    চিত্রঃ File Menu

এই অপশনের মাধ্যমে আপনি নতুন একটি প্রোজেক্ট বানাতে পারবেন , হার্ড ডিস্ক থেকে নতুন কোন ছবি ফটোশপ ক্যানভাসে নিয়ে আসতে পারবেন । কাজ করা ইমেইজটি সেভ করতে পারবেন । আরো অনেক কিছু যেগুলো আপনি দেখে দেখে প্রেকটিজ করতে হবে । এই মেনু বারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তাই হাতে কলমে ধরে শিখতে হবে ।

বাকি অপশন গুলো সম্পর্কে জানতে ভিডিও টিউটোরিয়ালে খেয়াল করুন ।
২. Option Bar হল সেই প্যানেল সেখানে আপনি একটি টোলের বিভিন্ন মাধ্যম দেখাবে । অর্থাৎ, একটি টোলের কি কি ফাংশন আছে সেগুলো দেখাবে ।

দেখতেই পাচ্ছেন এই অপশন বার আমাদের সেই টুলের আরো কিছু কাজ সহজেই করে দিচ্ছে । (বিস্তারিত ভিডিও টিউটোরিয়ালে)
৩. Project Bar এ আপনি যে ডকুমেন্টটি তৈরী করেছেন তার ডিটেলস্‌ দেখতে পারবেন ।
খেয়াল করুন, প্রোজেক্ট বারে আপনি আপনার প্রজেক্ট নাম (Project name), প্রোজেক্টের Extention , প্রোজেক্টের জুম লেভেল (Zoom Level), কালার মোড (Color Mode) ও কালার বিট (Color Bits) দেখতে পাচ্ছি ।
৪. Tools Bar হল ফটোশপ ব্যবহারে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এই অংশটুকু ভালো ভাবে আয়ত্ব করতে পারলে আপনি দ্বিধাহীন ভাবেই ফটোশপ এক্সপার্ট । তাই এই টুল বার পরিচিতিটা ভালো করে আয়ত্ব করে নিতে হবে ।
ফটোশপ টুলস্‌
ফটোশপের সিসি ভার্সনগুলোর সবচাইতে চমৎকার কারিগরি হল একটি টুলের উপর যখন আপনি কার্সর রাখবেন সেই টুলের দুই এক সেকেন্ডের একটি এনিমেশন আপনাকে বুঝিয়ে দিবে সে টুলটি কিভাবে কাজ করে । জিনিসটা নতুন ফটোশপ লার্নারদের জন্য অনেক চমৎকার একটি ফিচার ।
৫. Image Window তে আপনি আপনার মূল কাজটি করবেন । অর্থাৎ, টুল্গুলো ও প্রোপার্টিজ দিয়ে এই উইন্ডোতে আপনি আপনার ইমেজকে সাজাবেন ।
৬. Docked Panel হল সেই প্যানেল যেখানে অনেক ধরণের প্রোপার্টিজ থাকে । যেমন , কালার প্যানেল, লেয়ার প্যানেল, এডজাস্টমেন্ট প্যানেল, স্টাইল ইত্যাদি । এর মধ্যে আপনি লেয়ার প্যানেলে বেশি কাজ করবেন । কারণ, ফটোশপের লেয়ারের কাজই অন্যতম মুখ্য কাজ ।
৭. Properties Panel এ আপনি যে টুল নিয়ে কাজ করেছেন তার ডিটেলস আবার কাজ করতে পারবেন । এই বারটি আপনার কাজকে দ্রুততর করবে । এই বারে আপনি আরো কয়েকটি জিনিস পাবেন যেগুলো অবশ্যই আপনাকে ভালো করে আয়ত্ব করতে হবে । যেমন, Actions, Properties, Ad-ons, History, Brushes, Paragraph, Character ইত্যাদি । এই টুল দিয়ে আপনি আপনার ব্যবহৃত টুলের বিভিন্ন সেটিংস ও কাজ পুনরায় ব্যবহার উপযোগ্য করে তৈরী করতে পারবেন ।
৮. Document Information এ আপনি আপনার তৈরী ডকুমেন্টের সকল ইনফোরমেশন দেখতে পাবেন ।
দেখুন চিত্রে । আপনার ডকুমেতের সকল তথ্য আপনি এই বার থেকে পাবেন । তাই কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে আপনি এই প্যানেলটি লক্ষ্য রাখা উচিৎ । কারণ, আপনার প্রোজেকটি কতটুকু মেমরি নিয়েছে এই প্যানেলে দেখতে পারবেন ।
আশা করি আজকের টিউন থেকে ফটোশপের বেসিক ইন্টারফেস সম্পর্কে আপনি অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছেন । ভিডিওটি অবশ্যই দেখবেন । না হলে কন্সেপ্টটি ক্লেয়ার হবেন না। ধন্যবাদ ।

দৃশ্যমান আলোর কিছু কথা (কালার থিওরি)

দৃশ্যমান আলোর কিছু কথা (কালার থিওরি)
চোখ মেললেই আমরা যা দেখতে পাই সবি রঙের খেলা । রঙ ছাড়া এই পৃথিবীতে কিছুই নেই । আমরা যা দেখি সেটা হল দেখা আলো বা দৃশ্যমান আলো, এছাড়াও দৃশ্যমান আলোর না দেখা রূপ নিয়েও বিশাল সায়েন্স পড়ে রয়েছে । কোন রঙের আলো যখন চোখে এসে পরে তখন আমরা সে রঙের আলোটাকে দেখতে পাই । অর্থাৎ, আলোর আমাদের চোখে এসে পরে বলেই আমরা দেখতে পায় । যেমন, অন্ধকার হলে কোন আলো আমাদের চোখে এসে পড়ে না বিধায় আমরা কালো ছাড়া কিছুই দেখতে পারি না । আসলে অন্ধকারের কালোটা কোন রঙ না।  সেটাকে একটা দশা(Phrase) বলা হয়। মানে কিছুই না থাকলে সেটা আমাদের চোখ কালো করে দেখতে পায় যা আমাদের ব্রেইনে কালো রঙ বলে ধরে নেয়।  আসল কথা হল, অন্ধকারটা একটা ইল্যুশন বা বিভ্রান্তি। অন্যপ্রাণিরা অন্য রকম এই অন্ধকারটাকে দেখে। তাই, অন্ধকারটাকে কালো রঙ ভাবাটা নিত্যান্তই বোকামী।

আমাদের চোখতো অনেক কিছুই দেখতে পাই কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক সব কিছু ধরে রাখতে পারে না । আমাদের ব্রেইন চোখের মাধ্যমে তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ (Electromagnetic Radiation) গুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Wave Length) থেকে বিশেষ বর্ণালী (Spectrum) ধারণ করে রাখতে পারে । অর্থ্যাৎ আমরা চোখ দিয়ে যেসব রঙ দেখতে পারি সব কটি রঙের এক একটি তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে । আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ৩০০ থেকে ৭০০ নেনোমিটার হলে সে আলোকে (Visible Lights) বলা হয় । 
আর এটাও আমরা জানি যে, একটি সাদা আলোতে সাতটি রঙ আছে । বাংলায় সহজে আমরা "বেনিআসহকলা" নামে মনে রাখি । যারা এই ট্যাকনিকটি জানেন না তাদের জন্য পূর্ণ নামগুলো লিখে দিচ্ছি,
  • বে - বেগুনি
  • নি - নীল
  • - আসমানি
  • - সবুজ
  • - হলুদ
  • - কমলা
  • লা - লাল 
নিচে এই সাতটি রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Nanometers) দেয়া হলঃ
চিত্রঃ বিভিন্ন রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য (The Art of color)
উপরের আলোচনা বুঝতে পারলে নিচের কয়েকটি জিনিস আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন ।

  • তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যত বেশি হবে আলোর তিব্রতাও তত বেশি হয় ।
  • তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যত কম হবে আলোর তিব্রতাও তত কমে যাবে ।

অবলোহিত রশ্মিঃ

  • যে সকল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৭৫০ উর্ধ্ব তাদেরকে 'ইনফ্রারেড রে' (Infrared Ray) বা বাংলায় অবলোহিত রশ্মি বলা হয় ।
  • এই রশ্মি মানুষ খালি চোখে দেখতে পাই না । কারণ, এটি মানুষের ব্রেইনের দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে কম বলে ।
অতিবেগুনি রশ্মিঃ
  • যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৩৫০ ন্যানোমিটার থেকে কম তাদেরকে বলা হয় "আলট্রা ভায়োলেট রে" (Ultra Violet Ray) বা বাংলায় 'অতিবেগুনি রশ্মি' ।
  • এই রশ্মি মানুষ খালি চোখে দেখতে পাই না । কারণ, এটি মানুষের ব্রেইনের দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে কম বলে ।
এছাড়াও আরো কয়েকটি ব্যাঞ্জক রশ্মি রয়েছে যেগুলো মানুষ খালি চোখে দেখতে পারে না । যেমন,

  • মাইক্রোওয়েভ
  • রেডিও ওয়েভ
  • এক্স রে
  • গামা রে
এই সকল ওয়েভের আলো আমরা দেখতে পাই না । তবে আমরা সেগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি । যা রশ্মির নাম শুনেই বুঝা যায় । 

স্ট্রিট সিগন্যালে কেন লাল আলো ব্যবহার করা হয়?
নিরাপদ রাস্তা পারাপারে ইন্ডিকেটর হিসেবে লাল আলো ব্যবহার করা হয় । ট্রেনের ইনডিকেটরগুলোও লাল আলোর হয় । প্রশ্ন হল কেন এতো রঙ থাকতে লাল আলো ব্যবহার করা হয় ? আপনি যদি উপরের লেখাটি বুঝে থাকেন তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে পানি ভাত । মানুষ যে সাতটি রঙ দেখতে পায় তার মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচাইতে বেশি । আর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হওয়া মানেই আলোর তিব্রতা বেশি হওয়া । আর রাস্তার সিগন্যাল কিংবা ট্রেনের সিগন্যাল এমন হওয়া দরকার যেটা অনেক দূর থেকেও যাতে দেখা যায় । তাই , মানুষের দৃশ্যমান আলোর সবচাইতে বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের লাল আলোকে এ কাজে ব্যবহার করা হয় । যাতে অনেক দূর থেকে সিগন্যাল দেখা যায় ।