শব্দ কি ভাবে তৈরী হয় !

একটি অডিওতে অনেকগুলো চ্যানেল লেয়ার (Channel Layer) থাকে । আজকের পর্বে দেখাবো শব্দের মূল রহস্য কি ? শব্দ একটি এনালগ ড্যাটা (Analog Data) । আমরা যা কথা বলি সেটাতো ইলেকট্রিক না । পৃথিবীর সমস্ত প্রাকৃতিক শব্দই এনালগ । আজকের টিউনে আপনি শব্দের গতি ও প্রক্রিয়া জানতে পারবেন ।
এখানে কয়েকটি প্রশ্ন আছে । ধাপে ধাপে আমরা জেনে নেবো ।

প্রশ্নঃ সাউন্ড কিভাবে তৈরী হয়?
কোন কিছুর কম্পনে (Vibrate) শব্দ উৎপন্ন হয় । যেমন, আপনি একটি লোহার দন্ড দিয়ে অন্য কোন লোহার দন্ডে আঘাত করেন তখন একটি শব্দ উৎপন্ন হয় । পদার্থ বিজ্ঞানের মতে, যখন কোন পদার্থে কম্পন সৃষ্টি হয় তখন পদার্থের মধ্যে থাকা কণাগুলোর মধ্যে আন্দোলন সৃষ্টি হয় । এই আন্দোলন একটি মাধ্যমের (যেমন, বায়ু মাধ্যম) এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় বলেই শব্দ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে । এটাকে বিজ্ঞানের ভাষায় অসিলেশন (Oscillation) বলে । কণাগুলোর আন্দোলনে একটি মাধ্যমে (যেমন, বায়ু) তারি কিছু তরঙ্গ সৃষ্টি করে । তরঙ্গ সৃষ্টির ফলেই আমরা আওয়াজটি শুনতে পায় । আমরা যে কথা বলি, সেটাও বাতাস মাধ্যমকে ব্যবহার করে, গলা (Throat) থেকে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় । অসিলেশন হয় বলেই আমাদের গলা থেক আওয়াজ বের হলে আমরা তা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে শুনতে পায় ।
↺ Read More | বিজ্ঞানের ভাষায় শব্দ তরঙ্গের একটি ব্যাখ্যা (গাণিতিক)
আপনি হয়তো মনে করছেন সাউন্ড ঠিক নিচের ওয়েভ অনুসারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে । কিন্তু তা কিছুটা ভুল ।
চিত্রঃ সাউন্ড ওয়েভ 
উপরে চিত্রের যে তরঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন সেটাকে অনুপ্রস্থ (Transverse Wave) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে । এই ওয়েভটি একটি সাপের মত করে অগ্রসর হয় ।
কিন্তু শব্দ এরকম অগ্রসর হয় না ।  শব্দ তরঙ্গ সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিভ্রমণ করে । কিছুটা একটি কেঁচোর (Earthworm) এর মত ।
চিত্রঃ একটি অগ্রসরমান কেঁচো
সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে শব্দের পরিবহণকে অনুদৈর্ঘ্য (Longitudinal Wave) তরঙ্গ বলে । নিচের চিত্রে এই দুটি ওয়েভ দেখুন,
চিত্রঃ অনুপ্রস্থ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
↺ Read More | ড্যাটাবেস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও মৌলিক বিষয়বস্তু !
শব্দ কোন মাধ্যমে যখন চলে তখন কিছু শব্দ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের কিছুটা পিছনে সামনে এমনি করে অগ্রসর হয় । এটা বুঝার জন্য নিচের চিত্রের লাল ডটগুলো খেয়াল করুন ।
ডটগুলো প্রথমে সামনে যায় আবার পেছনে ফিরে । এমন করেই শব্দ অগ্রসরিত হয় । যে স্থানে কালো দানাগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় সেখানে শব্দের তিব্রতাও বেশি হবে ।

প্রশ্নঃ কখন শব্দ উচ্চ হয়?
শব্দ যখন স্থান পরিবর্তন করে তখন নিচের চিত্রের মত কম্পন গুলো অগ্রসর হয় । যখন উচ্চ শব্দ তৈরী হয় তখন  শব্দ একটি পূর্ণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্পন্ন করতে কম সময় নেয় । পূর্ণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্পন্ন যত সময় নিবে তার তিব্রতা তত কম হবে । যত কম সময়ে পূর্ণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সম্পন্ন করতে যত সময় নিবে ততটাই শব্দ তিব্র হবে ।
প্রশ্নঃ মানুষের সর্বোনিম্ন শ্রবণের সীমা (শ্রাব্যতার সীমা) কত? 
মানুষের সর্বোনিম্ন শ্রাব্যতার সীমা হল , ২০ হার্জ (20 Hertz) ।

প্রশ্নঃ মানুষের সর্বোচ্চ শ্রবণের সীমা (শ্রাব্যতার সীমা) কত? 
মানুষের সর্বোনিম্ন শ্রাব্যতার সীমা হল , ২০০০০ হার্জ (20000 Hertz) । এর উপরের শব্দগুলো মানুষ সঠিভাবে শুনতে পারে না ।

প্রশ্নঃ কত ডেসিবলের উপরের শব্দ মানুষের জন্য ক্ষতকর?
মানুষের নিরাপদ শব্দ সীমা হল , ৮৫ ডেসিবল (85 Decibel) । এর উপরের সকল শব্দই আমাদের জন্য ক্ষতিকর ।
↺ Read More | ইন্টারনেট কি (What is Internet) ?
নিচে শব্দ তৈরীর পরিমাপ দেখানো হল,
Noise
Average decibels (dB)
Leaves rustling, soft music, whisper
30
Average home noise
40
Normal conversation, background music
60
Office noise, inside car at 60 mph
70
Vacuum cleaner, average radio
75
Heavy traffic, window air conditioner, noisy restaurant, power lawn mower


80–89 
Subway, shouted conversation
90–95
Boom box, ATV, motorcycle
96–100
School dance
101–105
Chainsaw, leaf blower, snowmobile
106–115
Sports crowd, rock concert, loud symphony
120–129
Stock car races
130
Gun shot, siren at 100 feet
140

সূত্রঃ https://www.healthlinkbc.ca/health-topics/tf4173

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট