ফটোশপের রেন্ডম টিউটোরিয়ালে আজকের পর্ব বেসিক ইন্টারফেস অব ফটোশপ (Basic Interface of Photoshop)
ফটোশপ আগের পর্বে আমরা ডাউনলোড করেছিলাম । সহজ একটা লিংক দিয়েছিলাম ডাউনলোড করার জন্য । আশা করি আপনি ইন্সটল করতে পেরেছেন । যদি আপনি আগের টিউনটি মিস করে থাকেন তবে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন ।
ফটোশপের কাজ করার আগে ইন্টারফেস সম্পর্কে জানা অতি জরুরি । তাই আজকের টিউনটি স্বচিত্রক (Pictural) ভাবে উপস্থাপন করেছি যাতে আপনি সহজেই বুঝে নিতে পারেন । চলে যায় মূল টপিকে । খেয়ালে রাখুন , আমি ফটোশপ সিসি ২০১৯ ভার্সনটি ব্যবহার করছি ।
ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডোঃ
আপনি যখন ফটোশপ রান করবেন তখন যে উইন্ডোটি আপনি দেখতে পান সেটাকে বলা হয় "ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডো (Photoshop Initial Window)" ।
প্রোজেক্ট ম্যানেজার উইন্ডোঃ
ফটোশপ ইনিশিয়ালাইজিং হওয়ার পরে এই উইন্ডোটি দেখতে পাবেন । এই উইন্ডোর নাম প্রোজেক্ট ম্যানেজার উইন্ডো (Project Manager Window) । এই ধাপে আপনি নতুন প্রোজেক্ট তৈরী করতে পারবেন । আর আপনাকে যে কোন ইমেজে কাজ করতে হলে প্রথমে কথাই হলো একটি প্রোজেক্ট তৈরী করা । চিত্রে দেখুন,
এই ধাপে আপনি দুটি কাজ সহজেই করতে পারবেন । আগে যেসব psd ফাইল নিয়ে আপনি কাজ করেছেন সে প্রোজেক্ট এই উইন্ডোতে দেখাবে । তাই সহজেই আপনি এক ক্লিক করে আগের করা ফাইলটি ওপেন করতে পারবেন । আর বাটনে ক্লিক করে নতুন প্রোজেক্ট তৈরী করতে পারবেন । বাটনটি দ্বারা আপনি আপনার লোকাল ফাইল থেকে কোন ইমেজ ফটোশপে নিয়ে আসতে পারবেন । এখন গভীর বিষয়বস্তুতে যাওয়া যাক ।
যখন আপনি তে চাপবেন তখন যে উইন্ডোটি আসবে সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলা দরকার । কারণ, আপনি যে ডকুমেন্টটি তৈরী করছেন সেটির কিছু প্রোপার্ট আছে যেগুলো এই তে করে নিতে হবে ।
বুঝে নিই কোন ফিল্ডটা কিসের জন্য,
চিত্রটি ভালো ভাবে খেয়াল করুন । নাম্বারিং গুলো এখন নিচের তথ্যের সাথে ভালো করে পরিচিত হন ।
১. Project Name হল আপনার ডকুমেন্টের নাম ।
২. Document Width মানে আপনার ফটো ডকুমেন্টের প্রস্থ কতটুকু হবে । অবশ্যই ভালো করে খেয়াল রাখবেন এর ঠিক ডানে একক দেয়া আছে । ফটোশপে পরিমাপের ৬টি একক রয়েছে । নিচে এককগুলো দেয়া হল,
৩. Document Height হল আপনার ডকুমেন্টের উচ্চতা । এটাতেও এই ৬টি একক আছে ।
৪. Document Resolution হল আপনার ডকুমেন্ট কোন কাজের জন্য তৈরী করা হচ্ছে তা নির্দেশনা দেয়া । যদি শুধুমাত্র অনলাইনে আপলোড করার জন্য হলে যেটা দেয়া আছে তাই রাখুন । কিন্তু যদি আপনি এই যে ছবিটি তৈরী করতে যাচ্ছেন তা প্রিন্ট করতে চান তবে রেজল্যুশন ৩০০ করে দিন । কারণ, প্রিন্ট মিডিয়ার রেজল্যুশন ৩০০ । এই রেজল্যুশনে আপনি সর্বোচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ইমেইজ প্রিন্ট পাবেন ।
৫. Color Mode এটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । কারণ, অনলাইনে আপলোড করার জন্য হলে RGB কালার মোডটাই চলে । কিন্তু যদি আপনি ছবিটি প্রিন্ট করতে চান তবে আপনাকে চার কালার (Four Colour) অর্থাৎ, CMYK কালার মোডটি ব্যবহার করতে হবে । এছাড়াও ফটোশপ ৫টি কালার নিয়ে কাজ করতে পারে । যথা,
৮. এই অপশনগুলো হল ফটোশপের আগে থেকে দেয়া কিছু টেমপ্লেট । নেট কানেকশন দিয়ে এই ফাইলগুলো আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন । তবে আপনার ক্রিয়েটিভ ক্লাউড একাউন্ট লগইন রাখতে হবে ।
৯. এখন আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত একটি ফটোশপ ডকুমেন্ট তৈরীর জন্য ।
এখন আমরা দেখবো ফটোশপের মূল কাঠামোর কোন অংশকে কি বলা হয় সে সম্পর্কে । নিচে আমি ইমেইজটি আপলোড করে দিচ্ছি । গুছিয়ে প্রতিটা জায়গার নাম ভালো করে নাম্বারিং করে দেয়া আছে । একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন ।
এবার ছবির নাম্বারিং তথ্য গুলোর ব্যাখ্যা নিচের তথ্যের সাথে মিলিয়ে ভালো করে বুঝে নিন ।
১. Menu Bar হল ফটোশপের সকল ফাংশন । এই ফাংশন গুলো ব্যবহার করেই আমরা কোন একটি ইমেইজ নিয়ে কাজ করছি ।
এই মেনু বারে আমরা ১১ই অপশন দেখতে পাচ্ছি ।
এই অপশনের মাধ্যমে আপনি নতুন একটি প্রোজেক্ট বানাতে পারবেন , হার্ড ডিস্ক থেকে নতুন কোন ছবি ফটোশপ ক্যানভাসে নিয়ে আসতে পারবেন । কাজ করা ইমেইজটি সেভ করতে পারবেন । আরো অনেক কিছু যেগুলো আপনি দেখে দেখে প্রেকটিজ করতে হবে । এই মেনু বারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তাই হাতে কলমে ধরে শিখতে হবে ।
বাকি অপশন গুলো সম্পর্কে জানতে ভিডিও টিউটোরিয়ালে খেয়াল করুন ।
২. Option Bar হল সেই প্যানেল সেখানে আপনি একটি টোলের বিভিন্ন মাধ্যম দেখাবে । অর্থাৎ, একটি টোলের কি কি ফাংশন আছে সেগুলো দেখাবে ।
দেখতেই পাচ্ছেন এই অপশন বার আমাদের সেই টুলের আরো কিছু কাজ সহজেই করে দিচ্ছে । (বিস্তারিত ভিডিও টিউটোরিয়ালে)
৩. Project Bar এ আপনি যে ডকুমেন্টটি তৈরী করেছেন তার ডিটেলস্ দেখতে পারবেন ।
খেয়াল করুন, প্রোজেক্ট বারে আপনি আপনার প্রজেক্ট নাম (Project name), প্রোজেক্টের Extention , প্রোজেক্টের জুম লেভেল (Zoom Level), কালার মোড (Color Mode) ও কালার বিট (Color Bits) দেখতে পাচ্ছি ।
৪. Tools Bar হল ফটোশপ ব্যবহারে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এই অংশটুকু ভালো ভাবে আয়ত্ব করতে পারলে আপনি দ্বিধাহীন ভাবেই ফটোশপ এক্সপার্ট । তাই এই টুল বার পরিচিতিটা ভালো করে আয়ত্ব করে নিতে হবে ।
ফটোশপের সিসি ভার্সনগুলোর সবচাইতে চমৎকার কারিগরি হল একটি টুলের উপর যখন আপনি কার্সর রাখবেন সেই টুলের দুই এক সেকেন্ডের একটি এনিমেশন আপনাকে বুঝিয়ে দিবে সে টুলটি কিভাবে কাজ করে । জিনিসটা নতুন ফটোশপ লার্নারদের জন্য অনেক চমৎকার একটি ফিচার ।
৫. Image Window তে আপনি আপনার মূল কাজটি করবেন । অর্থাৎ, টুল্গুলো ও প্রোপার্টিজ দিয়ে এই উইন্ডোতে আপনি আপনার ইমেজকে সাজাবেন ।
৬. Docked Panel হল সেই প্যানেল যেখানে অনেক ধরণের প্রোপার্টিজ থাকে । যেমন , কালার প্যানেল, লেয়ার প্যানেল, এডজাস্টমেন্ট প্যানেল, স্টাইল ইত্যাদি । এর মধ্যে আপনি লেয়ার প্যানেলে বেশি কাজ করবেন । কারণ, ফটোশপের লেয়ারের কাজই অন্যতম মুখ্য কাজ ।
৭. Properties Panel এ আপনি যে টুল নিয়ে কাজ করেছেন তার ডিটেলস আবার কাজ করতে পারবেন । এই বারটি আপনার কাজকে দ্রুততর করবে । এই বারে আপনি আরো কয়েকটি জিনিস পাবেন যেগুলো অবশ্যই আপনাকে ভালো করে আয়ত্ব করতে হবে । যেমন, Actions, Properties, Ad-ons, History, Brushes, Paragraph, Character ইত্যাদি । এই টুল দিয়ে আপনি আপনার ব্যবহৃত টুলের বিভিন্ন সেটিংস ও কাজ পুনরায় ব্যবহার উপযোগ্য করে তৈরী করতে পারবেন ।
৮. Document Information এ আপনি আপনার তৈরী ডকুমেন্টের সকল ইনফোরমেশন দেখতে পাবেন ।
দেখুন চিত্রে । আপনার ডকুমেতের সকল তথ্য আপনি এই বার থেকে পাবেন । তাই কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে আপনি এই প্যানেলটি লক্ষ্য রাখা উচিৎ । কারণ, আপনার প্রোজেকটি কতটুকু মেমরি নিয়েছে এই প্যানেলে দেখতে পারবেন ।
আশা করি আজকের টিউন থেকে ফটোশপের বেসিক ইন্টারফেস সম্পর্কে আপনি অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছেন । ভিডিওটি অবশ্যই দেখবেন । না হলে কন্সেপ্টটি ক্লেয়ার হবেন না। ধন্যবাদ ।
ফটোশপ আগের পর্বে আমরা ডাউনলোড করেছিলাম । সহজ একটা লিংক দিয়েছিলাম ডাউনলোড করার জন্য । আশা করি আপনি ইন্সটল করতে পেরেছেন । যদি আপনি আগের টিউনটি মিস করে থাকেন তবে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন ।
↺ | ফটোশপ সিসি ২০১৯ ডাউনলোড করুন [Photoshop CC 2019 (Full Version)]
ফটোশপের কাজ করার আগে ইন্টারফেস সম্পর্কে জানা অতি জরুরি । তাই আজকের টিউনটি স্বচিত্রক (Pictural) ভাবে উপস্থাপন করেছি যাতে আপনি সহজেই বুঝে নিতে পারেন । চলে যায় মূল টপিকে । খেয়ালে রাখুন , আমি ফটোশপ সিসি ২০১৯ ভার্সনটি ব্যবহার করছি ।
ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডোঃ
আপনি যখন ফটোশপ রান করবেন তখন যে উইন্ডোটি আপনি দেখতে পান সেটাকে বলা হয় "ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডো (Photoshop Initial Window)" ।
চিত্রঃ ফটোশপ ইনিশিয়াল উইন্ডো (Photoshop Initial Window) |
ফটোশপ ইনিশিয়ালাইজিং হওয়ার পরে এই উইন্ডোটি দেখতে পাবেন । এই উইন্ডোর নাম প্রোজেক্ট ম্যানেজার উইন্ডো (Project Manager Window) । এই ধাপে আপনি নতুন প্রোজেক্ট তৈরী করতে পারবেন । আর আপনাকে যে কোন ইমেজে কাজ করতে হলে প্রথমে কথাই হলো একটি প্রোজেক্ট তৈরী করা । চিত্রে দেখুন,
চিত্রঃ প্রোজেক্ট ম্যানেজার উইন্ডো (Project Manager Window) |
যখন আপনি তে চাপবেন তখন যে উইন্ডোটি আসবে সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলা দরকার । কারণ, আপনি যে ডকুমেন্টটি তৈরী করছেন সেটির কিছু প্রোপার্ট আছে যেগুলো এই তে করে নিতে হবে ।
বুঝে নিই কোন ফিল্ডটা কিসের জন্য,
চিত্রঃ পরিচিতি |
১. Project Name হল আপনার ডকুমেন্টের নাম ।
২. Document Width মানে আপনার ফটো ডকুমেন্টের প্রস্থ কতটুকু হবে । অবশ্যই ভালো করে খেয়াল রাখবেন এর ঠিক ডানে একক দেয়া আছে । ফটোশপে পরিমাপের ৬টি একক রয়েছে । নিচে এককগুলো দেয়া হল,
- Pixels
- Inches
- Centimeters
- Milimeters
- Points
- Picas
তাই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপের ক্ষেত্রে একক গুলো খেয়ালে রাখবেন । কারণ, এক একটি ইউনিটের মাপ আরেকটার সাথে কখনই সমান হবে না ।
৩. Document Height হল আপনার ডকুমেন্টের উচ্চতা । এটাতেও এই ৬টি একক আছে ।
৪. Document Resolution হল আপনার ডকুমেন্ট কোন কাজের জন্য তৈরী করা হচ্ছে তা নির্দেশনা দেয়া । যদি শুধুমাত্র অনলাইনে আপলোড করার জন্য হলে যেটা দেয়া আছে তাই রাখুন । কিন্তু যদি আপনি এই যে ছবিটি তৈরী করতে যাচ্ছেন তা প্রিন্ট করতে চান তবে রেজল্যুশন ৩০০ করে দিন । কারণ, প্রিন্ট মিডিয়ার রেজল্যুশন ৩০০ । এই রেজল্যুশনে আপনি সর্বোচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ইমেইজ প্রিন্ট পাবেন ।
৫. Color Mode এটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । কারণ, অনলাইনে আপলোড করার জন্য হলে RGB কালার মোডটাই চলে । কিন্তু যদি আপনি ছবিটি প্রিন্ট করতে চান তবে আপনাকে চার কালার (Four Colour) অর্থাৎ, CMYK কালার মোডটি ব্যবহার করতে হবে । এছাড়াও ফটোশপ ৫টি কালার নিয়ে কাজ করতে পারে । যথা,
- Bitmap - ডট আকারে ইমেজ
- Grayscale - সাদা কালো ইমেজ
- RGB Color - Red Green Blue কালার
- CMYK Color - Cyan Megenda Yellow blacK কালার
- Lab Color - তিন চ্যানেলের কালার মোড (Lightness, A Channel, B Channel)
৬. Save as Tamplate এমন একটি ফাংশন যা দ্বারা আপনি সহজেই তৈরী করা যে কোন ডকুমেন্ট সেটিংসকে সহজেই ব্যবহার করে নতুন একটি ডকুমেন্ট তৈরী করতে পারবেন । যেমন , আপনি পাসপোর্ট সাইজের ছবির মাপ সেভ রাখতে চান তবে এই জায়গায় আপনি স্টোর করে রাখতে পারেন ডকুমেন্টের মাপ, রেজল্যুশন মিলে সব কিছু ।
৭. এই জায়গায় আবার আপনি যা সেভ করে রেখেছেন তা দেখতে পারবেন । তাকে আবার ব্যবহার করতে পারবেন ।
৮. এই অপশনগুলো হল ফটোশপের আগে থেকে দেয়া কিছু টেমপ্লেট । নেট কানেকশন দিয়ে এই ফাইলগুলো আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন । তবে আপনার ক্রিয়েটিভ ক্লাউড একাউন্ট লগইন রাখতে হবে ।
৯. এখন আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত একটি ফটোশপ ডকুমেন্ট তৈরীর জন্য ।
এখন আমরা দেখবো ফটোশপের মূল কাঠামোর কোন অংশকে কি বলা হয় সে সম্পর্কে । নিচে আমি ইমেইজটি আপলোড করে দিচ্ছি । গুছিয়ে প্রতিটা জায়গার নাম ভালো করে নাম্বারিং করে দেয়া আছে । একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন ।
এবার ছবির নাম্বারিং তথ্য গুলোর ব্যাখ্যা নিচের তথ্যের সাথে মিলিয়ে ভালো করে বুঝে নিন ।
১. Menu Bar হল ফটোশপের সকল ফাংশন । এই ফাংশন গুলো ব্যবহার করেই আমরা কোন একটি ইমেইজ নিয়ে কাজ করছি ।
এই মেনু বারে আমরা ১১ই অপশন দেখতে পাচ্ছি ।
এই অপশনের মাধ্যমে আপনি নতুন একটি প্রোজেক্ট বানাতে পারবেন , হার্ড ডিস্ক থেকে নতুন কোন ছবি ফটোশপ ক্যানভাসে নিয়ে আসতে পারবেন । কাজ করা ইমেইজটি সেভ করতে পারবেন । আরো অনেক কিছু যেগুলো আপনি দেখে দেখে প্রেকটিজ করতে হবে । এই মেনু বারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তাই হাতে কলমে ধরে শিখতে হবে ।
বাকি অপশন গুলো সম্পর্কে জানতে ভিডিও টিউটোরিয়ালে খেয়াল করুন ।
দেখতেই পাচ্ছেন এই অপশন বার আমাদের সেই টুলের আরো কিছু কাজ সহজেই করে দিচ্ছে । (বিস্তারিত ভিডিও টিউটোরিয়ালে)
৩. Project Bar এ আপনি যে ডকুমেন্টটি তৈরী করেছেন তার ডিটেলস্ দেখতে পারবেন ।
খেয়াল করুন, প্রোজেক্ট বারে আপনি আপনার প্রজেক্ট নাম (Project name), প্রোজেক্টের Extention , প্রোজেক্টের জুম লেভেল (Zoom Level), কালার মোড (Color Mode) ও কালার বিট (Color Bits) দেখতে পাচ্ছি ।
৪. Tools Bar হল ফটোশপ ব্যবহারে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এই অংশটুকু ভালো ভাবে আয়ত্ব করতে পারলে আপনি দ্বিধাহীন ভাবেই ফটোশপ এক্সপার্ট । তাই এই টুল বার পরিচিতিটা ভালো করে আয়ত্ব করে নিতে হবে ।
ফটোশপ টুলস্ |
৫. Image Window তে আপনি আপনার মূল কাজটি করবেন । অর্থাৎ, টুল্গুলো ও প্রোপার্টিজ দিয়ে এই উইন্ডোতে আপনি আপনার ইমেজকে সাজাবেন ।
৬. Docked Panel হল সেই প্যানেল যেখানে অনেক ধরণের প্রোপার্টিজ থাকে । যেমন , কালার প্যানেল, লেয়ার প্যানেল, এডজাস্টমেন্ট প্যানেল, স্টাইল ইত্যাদি । এর মধ্যে আপনি লেয়ার প্যানেলে বেশি কাজ করবেন । কারণ, ফটোশপের লেয়ারের কাজই অন্যতম মুখ্য কাজ ।
৭. Properties Panel এ আপনি যে টুল নিয়ে কাজ করেছেন তার ডিটেলস আবার কাজ করতে পারবেন । এই বারটি আপনার কাজকে দ্রুততর করবে । এই বারে আপনি আরো কয়েকটি জিনিস পাবেন যেগুলো অবশ্যই আপনাকে ভালো করে আয়ত্ব করতে হবে । যেমন, Actions, Properties, Ad-ons, History, Brushes, Paragraph, Character ইত্যাদি । এই টুল দিয়ে আপনি আপনার ব্যবহৃত টুলের বিভিন্ন সেটিংস ও কাজ পুনরায় ব্যবহার উপযোগ্য করে তৈরী করতে পারবেন ।
৮. Document Information এ আপনি আপনার তৈরী ডকুমেন্টের সকল ইনফোরমেশন দেখতে পাবেন ।
দেখুন চিত্রে । আপনার ডকুমেতের সকল তথ্য আপনি এই বার থেকে পাবেন । তাই কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে আপনি এই প্যানেলটি লক্ষ্য রাখা উচিৎ । কারণ, আপনার প্রোজেকটি কতটুকু মেমরি নিয়েছে এই প্যানেলে দেখতে পারবেন ।
আশা করি আজকের টিউন থেকে ফটোশপের বেসিক ইন্টারফেস সম্পর্কে আপনি অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছেন । ভিডিওটি অবশ্যই দেখবেন । না হলে কন্সেপ্টটি ক্লেয়ার হবেন না। ধন্যবাদ ।